এই বৃষ্টি এই রোদ। গৃহিণীরা অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন, নতুন তৈরি করা আচারগুলোয় ছত্রাক পড়ে এগুলো আবার নষ্ট হবে না তো? এই অবস্থায় কী করা যায়?
আর্দ্র আবহাওয়ায় জীবাণু দ্রুত বংশবিস্তার করে খাদ্যদ্রব্য পচিয়ে ফেলে। বিশেষ করে আচারজাতীয় সংরক্ষিত খাদ্যদ্রব্যগুলো কোনোভাবেই এ সময় ভালো রাখা যায় না রোদের অভাবে। আচার সংরক্ষণে প্রথমেই যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে, তা হলো পাত্র ( কনটেইনার ) টি জীবাণুমুক্ত কি না। এরপর মনে রাখতে হবে, সংরক্ষণ দ্রব্য সঠিক অনুপাতে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না। টকজাতীয় আচারে নির্দিষ্ট অনুপাতে লবণ ব্যবহার করা, মিষ্টিজাতীয় আচারে চিনি ব্যবহার করার বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। লবণ, চিনি ও তেল-এই তিন দ্রব্য হলো সবচেয়ে ভালো সংরক্ষক দ্রব্য। তা ছাড়া রসুন, আদা, পাঁচফোড়ন এসব তো আছেই। অনেকে মনে করেন, আচার ঠান্ডা করে এরপর তা বয়ামে ভরা উচিত। আসলে এ ধারণা ভুল। গরম অবস্থাতেই আচার বয়ামে ভরা উচিত এবং বাষ্পটুকু শুষে নেওয়ার জন্য বয়ামে পাতলা কাপড় ঢাকনা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। সাইট্রিক এসিড এবং বেনজয়িক এসিড সংরক্ষক দ্রব্য হিসেবে ভালো-তবে এসব ব্যবহারের আগে লক্ষ রাখতে হবে, কোন ধরনের ফলের আচার হচ্ছে। যেমন লেবুর আচারে সাইট্রিক এসিডের প্রয়োজন নেই। কারণ, লেবু নিজেই সাইট্রিক এসিড দেয়।
এ ছাড়া যেসব ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে তা হলো, ফলটি ঠিকমতো শুকিয়ে ( জলশূন্য ) অতঃপর তেলে দেওয়া। খাওয়ার সময় স্টেনলেস শুকনো চামচ ব্যবহার করা এবং আচার তৈরির সময় কাঠের চামচ ব্যবহার করা ইত্যাদি। ঠিকমতো রোদে দেওয়া না গেলে ফ্রিজে আচার রাখুন, ভালো থাকবে অনেক দিন। আর সে রকমও যদি ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে একদম ডুবো তেলে ফলগুলোকে ডুবিয়ে রাখুন, যাতে জীবাণু তেলের আস্তরণ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে না পারে।
আচার সংরক্ষণ
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০১৪
0
আমাদের রেসিপি তে যদি কোন ত্রুটি থাকে বা আপনি যদি কোন কিছু সংযোজন বা সংশোধন করতে চান নির্দ্বিধায় পোষ্টে কমেন্ট (মন্তব্য) করে জানাতে পারেন।