স্মৃতিশক্তি বাড়ে যেসব খাবারে



বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যেতে থাকি। কিন্তু এই ভুলে যাওয়া যখন গুরুতর হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হতে থাকে, তখন একে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম বলে।

বিভিন্ন কারণে স্মৃতিভ্রংশ রোগ হতে পারে।  উদাহরণস্বরূপ: অ্যালঝেইমার রোগ, থাইরয়েড ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা ইত্যাদি। গবেষণা বলা হয়, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও এর জন্য কিছুটা দায়বদ্ধ। স্মৃতিভ্রংশ রোধে খাদ্যাভ্যাস বেশ ভালো সুফল আনে।

* গাঢ় সবুজ শাক, যেমন পালং শাক–জাতীয় সবজিতে আছে ফলেট, ভিটামিন বি ৯ ও লুটেনন নামের উপাদান। এটি আমাদের কগনিশনের পতন রোধে সহায়ক। এ ছাড়া ব্রুকলি, ফুলকপি, গাজরেও প্রচুর ফলেট ও ক্যারটিনয়েড আছে, যা মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম করে তোলে।

* সমুদ্রের মাছের তেলের মধ্যে ওমেগা 3 ফ্যাট আছে, যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।

* নানা রকমের বাদাম যেমন আখরোট, চিনাবাদাম ও কাজুবাদামে আছে মেগা 3 , ওমেগা 6 ফ্যাট, ভিটামিন বি 6 এবং ভিটামিন ই। এগুলো স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে।

* কালোজাম ও স্ট্রবেরি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করে। এটি মস্তিষ্কের সংকেত আদান–প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

* সূর্যমুখী ও কুমড়ার বীজে প্রচুর কোলিন, জিংক ও ভিটামিন ই আছে। সূর্যমুখীর তেল বা অলিভ তেলে রান্না করাও উপকারী।

* ডিমের হলুদ অংশে জলে দ্রবণীয় নিউট্রিয়েন্ট কোলিন আছে, যা স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া গ্রিন–টি পান করলেও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* দয়া করে এখানে অবাঞ্ছিত মন্তব্য করবেন না। সমস্ত মন্তব্য অ্যাডমিন পর্যালোচনা করেন।