ফুচকা একটি অতি জনপ্রিয় সুস্বাদু ভারতীয় উপমহাদেশর মুখরোচক খাদ্যবিশেষ। বিশেষ করে মেয়েদের এটি বেশি পছন্দের হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতের শহরাঞ্চলে প্রায় সর্বত্রই এই খাদ্যটির প্রচলন রয়েছে। অঞ্চলভেদে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। গোটা বাংলাদেশে ও পশ্চিমবঙ্গে এর নাম "ফুচকা"; উত্তর ভারতে এটির পরিচিতি গোল-গাপ্পা হিসেবে , আবার পশ্চিম ভারতে, (যেমন মহারাষ্ট্রে), এই খাবারটির নামই পানি-পুরি।
ফুচকার জন্যঃ
- সুজি –১ টেবিল চামচ
- আটা – দেড় কাপ
- কুলেখাড়া বীজ ( তালমাখনা) – ১ চা চামচ (এটি না দিলেও চলবে)
- লবন আধা – চা চামচ
- তেল – ডুবো তেলে ভাজার জন্য
পুরের জন্যঃ
- ছো ২০০ গ্রাম
- আলু ২-৩ টি
- কাঁচা লঙ্কা – 4 টা
- পেঁয়াজকুচি – ১ টা
- ধনেপাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ
- ভাঁজা জিরার গুঁড়া –১ টেবিল চামচ
- লবন –১/২ চা চামচ
- বীট লবন –১/৪ চা চামচ
টক-জলের জন্যঃ
- তেঁতুল – ৫০ গ্রাম
- ভাজা জিরার গুঁড়া – ১ চা চামচ
- লবন- ১ চা চামচ
- বীট লবন – ১/৪ চা চামচ
- চিনি – ২ চা চামচ
প্রণালীঃ
- প্রথমে কুলেখাড়া বীজ (তালমাখনা) এবং লবন ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন ।
- এরপর সুজি, আটা, ও তালমাখনার মিশ্রণ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর কুসুম গরম জল দিয়ে মাখিয়ে শক্ত ডো তৈরি করুন। মাখানো হলে আধা ঘন্টা ঢেকে রেখে দিন।
- ছোলা ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন, আলু ভাল করে সিদ্ধ করে নিন(আলু ২টুকরা করে )। এরপর আলু ভর্তা করে ছোলা, ভাজা জিরা, কাঁচা লঙ্কা, লবন, পেঁয়াজ, ধনেপাতাকুচি, বীট লবন দিয়ে মিশিয়ে একপাশে রাখুন।
- তেঁতুল ১ কাপ জলে আধা ঘন্টা মত ভিজিয়ে রেখে তা থেকে তেঁতুলের ক্বাথ বের করে নিন। তারপর তাতে ভাজা জিরার গুঁড়া, লবন, বীট লবন ও চিনি ভালভাবে মিশিয়েস নিন। এবার দুই গ্লাস জল নিয়ে তাতে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
- এবার মেখে রাখা ডো থেকে ৬ টা বল করে নিন।
- এক একটি বল থেকে রুটি বেলে দেড় ইঞ্ছি ব্যাসের কুকি কাটার বা গোল কিছু নিয়ে ছোট ছোট আকারে কেটে নিন। এভাবে সব গুলি রুটি থেকে ছোট রুটি কেটে নিন।
- কড়াই এ তেল গরম করুন। তেল ভালভাবে গরম হলে ফুচকাগুলো একটা একটা দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলুন।
- সব ভাজা হয়ে গেলে ফুচকা নিয়ে মাঝখানে ছিদ্র করুন। তাতে পুর দিয়ে তেঁতুলের টক জল দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফুচকা ।
বিঃ দ্রঃ অনেক সময় ফুচকা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় । তাছাড়া এর ছোলা, মশলা, ও টক-জল খোলা অবস্থায় থাকে । তাই, এ জাতীয় খাবার খেলে বমিবমি ভাব, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পেটের পীড়া হতে পারে । তা ছাড়া আজকাল টকজলে তেঁতুলের পরিবর্তে টকচিনি ব্যবহার করা হচ্ছে, যেটা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
আমাদের রেসিপি তে যদি কোন ত্রুটি থাকে বা আপনি যদি কোন কিছু সংযোজন বা সংশোধন করতে চান নির্দ্বিধায় পোষ্টে কমেন্ট (মন্তব্য) করে জানাতে পারেন।