শসার পুষ্টিগুণ

শসা এমন এক ধরনের সবজি জাতীয় খাদ্য, যা কাঁচা ও রান্না করে খাওয়া যায়। এর ৮৫-৯০ ভাগই জল। তাই গরমের সময় তা মানুষের নানা উপকারে আসে। প্রতিদিনের খাবারে সালাদ হিসেবেই শসার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তবে খাবারের সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে শসার কদর বেশি হলেও পুষ্টিগুনের দিক দিয়ে শসা মোটেও পিছিয়ে নেই। শসার মূল উপকরণগুলোর মধ্যে ৮৩ শতাংশ কার্বন, ৬ শতাংশ ফ্যাট আর ১১ শতাংশ প্রোটিন। তবে এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট আর কোলেস্টরলের পরিমান খুব কম বলে এটি প্রায় সব ধরণের মানুষের জন্যই দারুণ উপকারী। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, প্যান্টোথেনিক এসিড, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও আয়রনের মতো উপকারী খাদ্য উপাদান। পেট পরিস্কার রাখতে এবং হজমের সুবিধার্থেও শসার জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া কম কোলেস্টরল ও কম ফ্যাট যুক্ত শসা থেকে বাড়তি ক্যালরি পাওয়া যায় বলে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শসা সবসময়ই আদর্শ একটি খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। 

  • রোগ প্রতিরোধক:

শসা খেলে আলসার দূর হয়। বুক জ্বালা কমায়। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। অ্যাসিডিটি সারায়। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় তা উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রে সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সাহায্য করে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণেও। দাঁতের রোগ বিশেষ করে পাইরিয়ার সমস্যার কমবেশি সমাধান ঘটায়। এর কষ ও রস কিডনি সমস্যা দূর করে। মূত্রনালীর প্রদাহ কমায়। কাজ করে লিভার এবং অগ্ন্যাশয়ের যে কোনো রোগের প্রতিরোধক হিসেবেও। শসা এমন একটি সবজি যা নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর জলীয় ভাগ বেশি হওয়ায় তৃষ্ণা নির্ধারণ করে। গরমে দেহের জলেরসমতা রক্ষা করে।


  • স্থূলতা কমায়:




দেহ থেকে অতিরিক্ত ফ্লুইড বের করে দেয় শসা।ফলে সহজে ক্লান্তিবোধ দূর হয়।এটি নিয়মিত খেলে বাড়তি ফ্যাট সেল ভেঙ্গে যায়। ফলে ওজন বাড়া বা মোটা হওয়ার আশংকা কমে যায়। এর নানা উপাদান ফ্যাট সেলের টক্সিন দূর করে।ত্বকের নিচে ফ্যাট সেল তৈরির ঝুঁকি কমায়। এনার্জি বাড়ায় এর টারট্রেট অ্যাসিড।ফলে ফূর্তিভাব ফিরে আসে দেহ-মনে।


∕∕◊ শসার অন্যান্য গুণ:

চুল পড়া সমস্যা থাকলে লেটুস, গাজর এবং পালং শাকের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। শসার রস চোখের চারপাশে লাগালে বলিরেখা দূর হয়।বার্ধক্যও রোধ করে। শসায় পর্যাপ্ত খনিজ লবণ থাকায় নখ মজবুত করে। ত্বকের শুষ্কতা কমায় বরে গোড়ালি, ত্বক ফাটা প্রতিরোধ করে। দূর করে ত্বকের সানবার্নড।তবে রান্না করে খাওয়ার চেয়ে শসা কাঁচা বা সালাদ হিসেবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ আগুনে এর অনেক গুণ নষ্ট হয়ে যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* দয়া করে এখানে অবাঞ্ছিত মন্তব্য করবেন না। সমস্ত মন্তব্য অ্যাডমিন পর্যালোচনা করেন।