আলু-বেগুন আর বড়ি দিয়ে ভাঙ্গান মাছের ঝোল

 🐟 উপকরণ (৪ জনের জন্য)

  • ভাঙ্গান মাছ – ৪ টুকরো

  • আলু – ২টি (মাঝারি, খোসা ছাড়িয়ে চওড়া চিরে কাটা)

  • বেগুন – ১টি (মাঝারি, লম্বা করে কাটা)

  • বড়ি – ১০–১২টি (চাইলে আরও বেশি দিতে পারেন)

  • টমেটো – ১টি (মাঝারি, কুচি করে কাটা)

  • কাঁচা লঙ্কা – ৪–৫টি (চিরে নিন)

  • কালো জিরে – ১/২ চা চামচ

  • হলুদ গুঁড়ো – ১ চা চামচ

  • ধনে গুঁড়ো – ১ চা চামচ

  • ধনে পাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ (সাজানোর জন্য)

  • সরষের তেল – ৬–৭ টেবিল চামচ

  • নুন – পরিমাণমতো

  • জল – ২–৩ কাপ (ঝোলের জন্য)

🍳 প্রণালী

একটা সকালে মা যেমন করে গুছিয়ে নেন রান্নাঘর – তেমনি করেই শুরু হোক আমাদের রান্না।

🔸 প্রথমেই মাছ প্রস্তুত করা – ভাঙ্গান মাছের টুকরো গুলোতে নুন ও হলুদ মেখে ৫ মিনিট রেখে দিন। এতে মাছের কাঁচা গন্ধ চলে যাবে আর ভাজার সময় হবে খাস্তা ও সুগন্ধযুক্ত।

🔸 এরপর বড়ির পালা – একটা কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে বড়িগুলো মাঝারি আঁচে সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। ওগুলো ঝোলে মিশে এমন একটা স্বাদ দেবে, যেটা শুধু গ্রামের রান্নায় মেলে।

🔸 সেই একই তেলে – মাছগুলো হালকা ভেজে নিন। ভাজার সময় লক্ষ্য রাখুন, যেন বেশি না হয়। কারণ মাছ বেশি ভাজলে স্বাদ কমে যায় — রসটা শুকিয়ে যায়, ঝোলে আর প্রাণ থাকে না। হালকা ভাজাই যথেষ্ট।

🔸 এবার শুরু হল আসল রান্না – তেল গরম থাকতেই তাতে কালো জিরে ফোড়ন দিন। তার গন্ধটা যেন সারা রান্নাঘর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর টমেটো কুচি দিন ও একটু নাড়াচাড়া করুন। টমেটোটা একটু গলে এলেই দিন আলু, একটু পরে বেগুন

🔸 এবার বড়িগুলো ফিরিয়ে দিন কড়াইয়ে। তার পর দিয়ে দিন নুন ও হলুদ। সবকিছু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

🔸 এবার আসল মশলার পালা – একসঙ্গে বেঁটে রাখা জিরে, আদা আর শুকনো লঙ্কা বাটা দিয়ে দিন। মন দিয়ে কষাতে থাকুন, যেন মশলার গন্ধ বেরোয়।

তারপর দিন ধনে গুঁড়ো আর মরিচ গুঁড়ো, সাথে অল্প একটু জল – যাতে মশলা পুড়ে না যায়। কষানোর সময় যেন চারপাশে এক অপূর্ব গন্ধে ভরে ওঠে।

🔸 ঝোল তৈরি করা – এবার ২–৩ কাপ গরম জল দিন।  দিন ৪–৫টি কাঁচা লঙ্কা চিরে। ঢেকে রাখুন ২–৩ মিনিট – সবজি গুলো যেন ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা খুলে দিয়ে দিন ভাজা মাছ। এবার আর কিছু নয় – শুধু অপেক্ষা… যেন মাছে-সবজিতে মশলার রস ঢুকে পড়ে। ৫–৬ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই প্রস্তুত।

🔸 রান্নার শেষ ছোঁয়া – শেষে ছড়িয়ে দিন কুচনো ধনে পাতা। ইচ্ছা হলে এক চামচ কাঁচা সরষের তেল দিতে পারেন – বাড়তি ঘ্রাণ আর স্বাদের জন্য।



🍚 পরিবেশন

এই ঝোলের আসল জাদু আসে গরম ভাতের সঙ্গে – একটু লেবু, এক ফালি কাঁচা লঙ্কা… আর একটা বিকেল বৃষ্টিভেজা হোক বা রোদ্দুরমাখা — সেই পাতলা ঝোল আর তার স্নিগ্ধ স্বাদে মন ভরে যায়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* দয়া করে এখানে অবাঞ্ছিত মন্তব্য করবেন না। সমস্ত মন্তব্য অ্যাডমিন পর্যালোচনা করেন।